সিরাজগঞ্জ তাড়াশ থানায় বারবার হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, মুমূর্ষ অবস্থায় সদর হাসপাতালে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বিনসাড়া গ্রামে তামিম নামক এক যুবকের উপর অত্র গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত সরদার আব্দুস সালাম ওরফে ভুট্টু (ক্রস ফায়ারের আসামী) পারিবারিক যের ধরে বারবার হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা যায় যে, গত দের বছর আগে পারিবারিক সমস্যার যের ধরে গভীর রাতে মোঃ তামিম হোসেন ৩২ পিতাঃ মোঃ গোলবার হোসেন (বিনসাড়া ফকির তোলা) এর বাড়িতে এসে ১) আব্দুস সালাম ওরফে ভুট্টু পিতাঃ মৄত রফাত, ২) মামুন হসেন (৩০) ৩) তুষার আহাম্মেদ ২৩ উভায়ের পিতাঃ আব্দুস সালাম ওরফে ভুট্টু ৪) মোক্তার হোসেন পিতাঃ আব্দুর রশিদ ৫) রেনুকা খাতুন স্বামীঃ মকুল হোসেন সহ আরও কয়েক জন মিলে দেশীয় আস্ত্র, হাসুয়া, ও রোড নিয়ে তামিম, তামিমের স্ত্রী ও তার ১৪বছর বয়সের ছেলেকে বেদম মারধোর করে তামিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

পরে পাড়া পতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে তামিমের স্ত্রী ১৩/০৯/২০২০ইং তারিখে বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় এ্যাটেম টু মাডার এর মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৪। অতঃপর, মামলা চালু হলে বিবাদীগণ বাদীনিকে নানা হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে বলেও কাজ না হলে বিবাদীগণ এসে তামিমের পিতাঃ গোলবার হোসেন এর ঘরের চাতাল থেকে তার শেষ সম্বল ১৬মণ ধান পেরে নিয়ে যায়। তামিমের পিতাঃ গোলবার হোসেন এ বিষয়ে তাড়াশ থানায় গিয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি করে। ভয় ভিতির কারণে তামিম যখন ৯/১০ মাস পরে ঈদুল আযহা উলপক্ষে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য বিনসাড়া বাজারে এসে নামার সাথে সাথেই ডাকাত সরদার আব্দুস সালাম ওরফে ভুট্টু এর হুকুমে তার ছেলে মামুন হোসেন ও তার ভগনি পতি মকুল হোসেন রাস্তায় ফেলে মারধোর শুরু করলে বাজারে উপস্থিত লোক জন তাকে তাদের হাত থেকে তামিমকে বাচিয়ে নিয়ে আসে। যার সাক্ষী প্রায় বাজারের ১০০/১২০ জন।

এ বিষয়েও তাড়াশ থানায় গিয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরি নং-৪৫৭। বর্তমানে ২৫/১১/২০২১ ইং তারিখে বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে নিজের ভোট দেয়ার জন্য ২৪ তারিখ রাত ৯/৯.৩০টা এর দিকে বাসায় আসলে সেই রাতেই আনুমানিক রাত ১টার দিকে তার বাসায় আসে ভুট্টুর ভাইয়ের ছেলে সোহাগ হোসেন পিতাঃ আবুল কালাম এবং বলে মামলা টা তুলেনে ও ভোটগুলো আমাদের কথা মত দে। তার কথায় রাজি না হলে সোহাগ তামিমকে চর-থাপ্পোর দেয়ার কারণে পরিবারের লোকজন কান্না-কাটি শুরু করলে তা শুণে পাড়ার লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে সোহাগ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। যার সাক্ষী পাড়ার সকল মানুষ। ২৫/১১/২০২১ইং তারিখের ভোটে তাদের প্যানেল হেরে যাওয়া দেখে ডাকাত সরদার আব্দুস সালাম ওরফে ভুট্টু এর হুকুমে ২৬/১১/২০২১ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০টা ২০মি. এর দিকে পরিকল্পিত ভাবে বেহুলা পারা কোফিল এর উঠানে তামিমকে ধরে ভুট্টুর ছেলে মামুন ও ভুট্টুর ভাতিজা সোহাগ সহ আরও কয়েক জন মিলে রানদা, হাসুয়া রোড, লোহার পাইপ ও লাঠি শঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝাপিয়ে পরে। ৪ হাত-পা ভেঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মরে গেছে ভেবে তামিমকে ফেলে রেখে চলে যায়। যা সামনে থেকে দেখেছে পাড়ার অনেক মহিলা ও পুরুষ। এখন তামিম সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Follow by Email
YouTube
Instagram
WhatsApp