পিরোজপুরে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার “
মোঃরফিকুল ইসলাম
ডাকাতির সময়, চিনে ফেলার জন্যই পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার হওয়ার পর, তার স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে এ সকল তথ্য। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুট করা টাকা।
হত্যাকাণ্ডের ৯ দিন পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একই পরিবারের তিন জনের খুনের রহস্য উদঘাটিত হলো। উদ্ধার করা হলো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুট করা টাকা।
শনিবার মূল পরিকল্পনাকারী,ওলী বিশ্বাস ও তার সহযোগী রাকিব ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই মঠবাড়িয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান। তিনি জানান হত্যার দায় স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনা তারা প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছি।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের আশায়, গত ৩১ জুলাই ধানীসাফা এলাকার অটোরিকশা চালক আয়নালের ভাড়া বাসার সিঁদ কেটে ভেতরে ঢুকে ওলী ও রাকিবসহ চার যুবক। এ সময় তাদেরকে চিনে ফেলে আয়নাল। চিনে ফেলায় আয়নালকে এবং তার স্ত্রী খুকুমনি ও তিন বছরের শিশু আসফিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘরেই লাশ ঝুলিয়ে রেখে যায়।
তিনি আরো বলেন, মৃত আয়নাল খুনী ওলীকে বলেন ‘ওলী ভাই, আমাকে মারিস না, তোর যা নেয়ার তুই তাই নিয়ে যা।’
তারা সেখানে বসেই নিজেরা আলাপ করে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়।
হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া বাকি দু’জনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরো ৬ জনকে আটক করা হয়েছিলো।
“