ঈদুল আজহায় গরু কেনা ও কোরবানি নিয়ে মেয়র আতিকের পরামর্শ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুহাটে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, মাস্তানি বরদাস্ত করা হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শনকালে মেয়র এ কথা বলেন। পরিদর্শনকালে তিনি পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং গবাদি পশু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি সবাইকে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মেয়র বলেন, এবছর মহামারীর মধ্যেই পশু কোরবানি দিতে হচ্ছে। মহামারী মোকাবেলা করেই পশু কোরবানি দিতে হবে। এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বারবার বলা সত্ত্বেও দুই-এক জন শিশুদেরকে নিয়ে এসেছেন। উনারা যদি নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি না বোঝেন, বোঝানো দূরহ ব্যাপার। এখানে পশু বিক্রেতারা আমাকে বলছে আমরা গরু বিক্রয় করব না, যদি ক্রেতারা মাস্ক না পরে থাকেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছি, এটাই হওয়া উচিত। আমাদের হাট মনিটরিং কমিটি বিভিন্ন হাট নিয়মিত পরিদর্শন করছে। প্রতিটি হাটে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আপনারা মেহেরবানি করে নিজেদের সুরক্ষা নিজেরা ‘মেন্টেন’ করবেন। তাহলেই মহামারীর চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবেলা করতে পারব।

ক্রেতাদেরকে হাটে না এসে পশু ক্রয় করার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট আছে, সেখান থেকেও পশু কিনতে পারেন। আমি অনুরোধ করব ডিজিটাল হাট থেকে পশু কোরবানি দিন। অনলাইনে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বসিলায় পশুকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হালাল উপায়ে কোরবানি দিয়ে গোশত প্রস্তুত করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫৬ টি স্থানে কোরবানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনারা মেহেরবানি করে পশু কোরবানি দেয়ার পরে বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে রেখে দিন। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীগণ তা সংগ্রহ করে নিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Follow by Email
YouTube
Instagram
WhatsApp